1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

১১ মাসে ১৬.৩৬ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা

  • Update Time : মঙ্গলবার, ২ জুন, ২০২০
  • ১৮৫ Time View
প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাস সঙ্কটে আমদানি ও রফতানি তলানিতে নেমে আসলেও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এখনও অর্থনীতিতে আশার আলো জাগিয়ে রেখেছে। গত পুরো অর্থবছরে যত রেমিট্যান্স এসেছিল, চলতি অর্থবছরের এক মাস বাকি থাকতেই তার প্রায় সমান অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ায় কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও বাংলাদেশের রেমিট্যান্স ‘ধাক্কা’ লাগেনি বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। যদি ‘এই প্রণোদনা’ না দেওয়া হতো, তা হলে এবার অর্থবছর শেষে গত বছরের চেয়ে ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স কম আসতো বলে মনে করছেন তিনি।

চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) এক হাজার ৬৩৬ কোটি ৪০ লাখ (১৬.৩৬ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে এই অঙ্ক ছিল এক হাজার ৫০৫ কোটি ১০ লাখ (১৫.০৫ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসাবে এই সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান এই সূচক ১ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার বা ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের পুরো সময়ে (জুলাই-জুন) এক হাজার ৬৪২ কোটি (১৬.৪২ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়ে ছিলেন প্রবাসীরা।

সারাবিশ্বে মহামারীর মধ্যে ঈদ উপলক্ষে সবাইকে অবাক করে দিয়ে সদ্য সমাপ্ত মে মাসে ১৫০ কোটি ৩০ লাখ (১.৫ বিলিয়ন) ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। করোনা ভাইরাস মহামারী গোটা বিশ^কে সঙ্কটে ফেলে দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশের রেমিট্যান্সেও পড়েছে তার প্রভাব। আশঙ্কা করা হয়েছিল, আমদানি ও রফতানি আয়ের মতো রেমিট্যান্স ও তলানিতে নেমে আসবে। কিন্তু তেমনটি হয়নি।

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল সোমবার রেমিট্যান্সের হালনাগাদ তথ্য দিয়ে বলেন, এটা আমাদের জন্য খুবই ভালো খবর যে, এই মহাসঙ্কটের সময়েও রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। এজন্য আমি আমাদের প্রবাসী ভাই-বোনদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি; কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, তবে এক্ষেত্রে আমাদের সরকারেরও একটা বড় অবদান আছে। আমরা চলতি বাজেটের প্রথম দিন থেকে রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছি। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ ধরনের প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রণোদনা রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। ‘আমি হিসাব করে দেখেছি, যদি আমরা এই প্রণোদনা না দিতাম, তা হলে চলতি অর্থবছর শেষে গত অর্থবছরের চেয়ে ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স কম আসত।

রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় রফতানি আয় কমার পরও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার ভান্ডার (রিজার্ভ) সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। গত মার্চ থেকে রেমিট্যান্স কমে যাওয়া দেখে খুব একটা আশাবাদী ছিলেন না অর্থনীতিবিদরা। কিন্তু ঈদের মাস মে’তে অতীতের যেকোনো ঈদের মাসের চেয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে সরকারের নীতি-নির্ধারকদের। তবে আগামী দিনগুলোতে কী হবে তা নিয়ে বেশ চিন্তিত তারা।

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা কোটি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ। জিডিপিতে এই রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো। প্রতি বছরই ঈদের আগে রেমিট্যান্সে গতি আসে। গত বছরের রোজার ঈদের আগে মে মাসে ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছিল। এক মাসের হিসাবে যা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স।

এবার করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে ইতোমধ্যেই সাত লাখের মতো প্রবাসী শ্রমিককে দেশে ফিরতে হয়েছে। যারা রয়েছেন, তাদেরও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কারণে তেমন রেমিট্যান্স আশা করা হচ্ছিল না। মার্চ থেকে বৈশি^ক পরিস্থিতি ওলটপালট হয়ে যাওয়া ওই নিরাশার দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছিল।

মার্চে ১২৮ কোটি ৬৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ কম। পরের মাস এপ্রিলে রেমিট্যান্স আরও কমে ১০৮ কোটি ১০ লাখ ডলারে আসে, তাও গত বছরের এপ্রিলের চেয়ে ২৪ দশমিক ৬১ শতাংশ কম। কিন্তু মে মাসে চিত্র পাল্টাতে থাকে। প্রথম ১১ দিনে ৫১ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসে, ১৩ মে পর্যন্ত আসে ৬৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। ১৪ মে পর্যন্ত আসে ৮০ কোটি ডলার। ১৯ মে তা ১০৯ কোটি ১০ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। ২৮ মে পর্যন্ত আসে ১৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলা। ৩১ মে মাস শেষে সেই রেমিট্যান্স গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫০ কোটি ৩০ লাখ ডলারে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..